আপনি কী ইন্ট্রোভার্ট, এক্সট্রোভার্ট নাকি অ্যাম্বিভার্ট
আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভালো আছেন! তো আজকের টপিক হচ্ছে আপনি কী ইন্ট্রোভার্ট, এক্সট্রোভার্ট নাকি অ্যাম্বিভার্ট??
নিচের বৈশিষ্ট্য গুলো থেকে জেনে নিন আপনি কোন ক্যাটাগরির মধ্যে পড়েন।
১.ইন্ট্রোভার্ট
– নিজেকে গুটিয়ে রাখতে ভালবাসে।
– চুপচাপ, লাজুক ও স্বল্পভাষী স্বভাবের হয়।
– বন্ধু বান্ধবের সংখ্যা খুব কম হয়, কিন্তু যাদেরকে বন্ধু বানায় তাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকে।
– একা থাকতে ভালবাসে, নিজের পছন্দের কাজ নিয়ে নিজের মতোন ব্যস্ত থাকতে পারে দিনের পর দিন।
– ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে অল্প সময়ের জন্য বাইরে থাকা উপভোগ করে।
– কোনো কাজ করার আগে বেশ চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয়।
– সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতে ভালবাসে।
– সহজে কারও সাথে নিজের ব্যাপারে কথা বলে না, তবে মন মতোন কাউকে পেলে তার সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতে পারে।
– অন্যদের কথা শুনতে বেশী ভালবাসে, ভাল শ্রোতা।
আরো পড়ুন:
২.এক্সট্রোভার্ট :
-মিশুক স্বভাবের হয়, সবার সাথে মিশে যায় খুব সহজেই।
-চিন্তা করে কাজ করে না, হুটহাট সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় যার কারণে অনেক সময় বেশ ঝামেলাতেও পড়ে।
-একা থাকতে পারে না, কোথাও একা যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। সব সময় সঙ্গী হিসেবে কাউকে লাগে।
-কথা বলতে পছন্দ করে; অন্যদেরটা শোনে কম, নিজে বলে বেশী।
-নেতৃত্ব গুণ থাকে ভাল।
-কথা গোপন রাখতে পারে না, নিজের মনে যা থাকে সব গড়গড় করে বলে দেয়। সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে বিপদে পড়ে।
-আড্ডা দিতে, ঘুরে বেরাতে ভালবাসে।
-বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলার বিষয়ে দক্ষ হয়।
আরো পড়ুন :-
৩.অ্যাম্বিভার্ট
-ইন্ট্রোভার্ট আর এক্সট্রোভার্টের সংমিশ্রণ হচ্ছে এরা।
-নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হয় সহজেই, তবে কাউকে ঘনিষ্ঠ বানায় না সহজে।
-আগ্রহের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বেশি পছন্দ করে, অনাগ্রহের বিষয়ে সময় দেয় না; বোরিং অনুভব করে।
– আড্ডা দিতে, ঘুরতে ভালবাসে তবে শুধুমাত্র পছন্দের মানুষদের সাথে।
-সবার ব্যক্তিগত বিষয় মনযোগ দিয়ে শুনলেও নিজের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সহজে কারও সাথে কথা বলে না।
– সবার সাথে মিশলেও ঘনিষ্ঠ বানায় হাতে গোনা কিছু মানুষকে; তাদের জন্য সব উজাড় করে দিতে কার্পণ্য করে না।
-একটি পার্টিতে বা ফ্রেন্ড সার্কেলে সহজেই সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে।
-যেকোনো বিষয়ে যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।
আমাদের আরো কিছু আর্টিকেল আছে, পড়ার অনুরোধ রইলো।
ধন্যবাদ।
অসাধারণ লিখছেন ভাই!