নারীদের চিকিৎসা নারী ডাক্তার দিয়ে করানো ভালো?
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভিজিটর আশা করি সবাই ভালো আছেন! তো আমাদের আজকের টপিক হচ্ছে নারীদের চিকিৎসায় নারী ডাক্তার ভালো না পুরুষ ডাক্তার।
তো আমাদের অনেকেরই মনে একটাই প্রশ্ন নারীদের চিকিৎসা নারী ডাক্তার দিয়ে করানো ভালো? নাকি পুরুষ ডাক্তার দিয়ে? যদি নারী ডাক্তার দিয়ে নারীদের চিকিৎসা করানো ভালো হয়, তাহলে সেই নারীরা কোথায় ডাক্তার হবে বলে মনে করেন?
প্রথম কথা হলো নারীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের প্রতি আমাদের কোন বিদ্বেষ নেই। অবশ্যই নারীদের জন্য নারী ডাক্তারই শ্রেয়।
কিন্তু সমস্যা বাঁধে ফ্রি-মিক্সিংয়ের প্রশ্নে। এখন এই নারীদের জন্য নারী ডাক্তার শ্রেয় বাস্তবতার কারণে কী নারী-পুরুষ অবাধে একসাথে শিক্ষা গ্রহণ করা বৈধ হবে!?
এখানে এসে আমরা বলবো যে, না এভাবে এই প্রয়োজনের কারণে ফ্রি মিক্সিং বৈধ নয়। নারী যদি সম্পূর্ণ পর্দার সাথে, ফ্রি-মিক্সিং ব্যতীত শিখতে পারে, শিখবে, নতুবা শিখবে না।
বলবেন, তাহলে নারীদেরকে কী আমরা পুরুষ ডাক্তার দেখাব তাহলে! এখানে এসে অবৈধ হবে না!?
ভাই, খেল করুন। রোগ দুই ধরণের হতে পারে এক্ষেত্রে। নরমাল রোগ। যেমন জ্বর, ঠাণ্ডা, গাইনি বিষয়ক। আসলে এর জন্য খুব বেশি উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন হয় না। এগুলো অভিজ্ঞতা ও নার্সিংয়ের মাধ্যমেই অর্জন করা সম্ভব পর্দার সাথে।
দ্বিতীয়ত সার্জারি পর্যায়ের যে সমস্ত রোগ রয়েছে, এক্ষেত্রে সত্য কথা হলো নারীদের পারিপার্শ্বিক কারণে তারা যতই উচ্চ শিক্ষা নেক পুরুষ ছাড়া ভয়ঙ্কর কোন সার্জারি হয় না।
এমনকি সিজার পর্যন্ত এখনও নারীরা একা করে না। সেখানেও পুরুষ থাকেই।
তো আপনি তো পুরুষের সাথে দেখা দিচ্ছেনই। তাহলে এই পর্যায়ে এসে নারীর উচ্চ শিক্ষার জন্য আলাদা করে পুরুষের সাথে সাক্ষাত বৈধ করার সুযোগ কই!?
সহজ কথা হলো, শরীয়ত প্রয়োজনে পুরুষ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াকে বৈধ করেছে। যেহেতু এই বৈধতা শরীয়তে আছে, অতঃএব প্রয়োজন ছাড়া পুরুষের সাথে ফ্রিমিক্সিং ডাক্তারি পড়া বৈধ নয়।
ভুলে গেলে চলবে না, এখানে প্রয়োজন বলতে শরয়ী প্রয়োজন উদ্দেশ্য। মনগড়া প্রয়োজন নয়।
তারপরের কথা হচ্ছে, যদি আপনি বলেন যে মেয়েদের ডাক্তারি পড়াও প্রয়োজন।
তখন প্রশ্ন আসবে, ঠিক কতজন মেয়ে শিখলে পড়ে এই প্রয়োজন পূরণ হবে! সে হিসাবে দেশে কতজন মেয়ে ডাক্তারি পড়ছে? কারণ প্রয়োজনের সীমানাও প্রয়োজন পরিমান। এর বেশি বৈধ নয়।
আরও প্রশ্ন আসবে, গত দশ বছরে কয়জন মেয়ে ডাক্তার বের হয়েছে, যারা সিজার, সার্জারি করতে জানে!
যদি উত্তর হয় শূন্য, তাহলে তো বিশাল বড় প্রশ্ন আসবে যে, এক মেয়েকে কয়বার পর্দা ছাড়া করা হবে এক রোগের নাম দিয়ে।
এখানে আপনার প্রশ্ন হতে পারে!
ডাক্তারি, এটা কমন বিষয়! দুনিয়ায় আরো আরো সেক্টর আছে, যেখানে নারীরা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পুরুষের মুখোমুখি হচ্ছে! আর পুরুষের সাহায্য ছাড়া নারী ডাক্তার সিজার করতে পারে না, এই তথ্য পুরোপুরি ঠিক না। আমি আমার এক আত্মীয়ার সিজার মহিলা ডাক্তার দিয়ে করিয়েছি!
নারীদের উচ্চ শিক্ষা অতি অবশ্যই দরকার। এই জন্য আলাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দাবি তুলতে হবে। দেশে কলেজ লেভেল পর্যন্ত প্রচুর গার্লস স্কুল এবং কলেজ রয়েছে । জোরদার দাবি তুললে বাকীটাও হয়ে যাবে।
Nice post
good information